রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বড় বিহানালী এলাকায় ফাঁদে ধরা এক অতিথি পাখি শামুকখোল মানবিক উদ্যোগে আবারও মুক্ত আকাশে ফিরে গেল। পাখিটি শিকার করেছিল মাত্র ১৩ বছর বয়সী এক শিশু।
পরিবারসহ খাওয়ার উদ্দেশ্যে পাখিটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে ঘটনাটি নজরে আসে সরকারি এক কর্মকর্তার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে বড় বিহানালী স্কুল মাঠের কাছে ফাঁদ হাতে ও শামুকখোলটি নিয়ে ফিরছিল শিশুটি। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা অঞ্চলে কর্মরত কর পরিদর্শক এমামুল হক। তিনি শিশুটিকে থামিয়ে পাখি ধরার কারণ জানতে চান।
শিশুটি জানায়, পাখিটি জবাই করে পরিবার নিয়ে খাবেন তারা। তবে অতিথি পাখি শিকার আইনগতভাবে দণ্ডনীয় ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর—এমনটি জানালে শিশুটি নিজের ভুল স্বীকার করে। পরে পাখিটি বিক্রি করতে রাজি হলে ৫০০ টাকায় সেটি কিনে নেন এমামুল হক।
এরপর মুখ ও পা বাঁধা অবস্থায় থাকা শামুকখোলটি নিয়ে বড় বিহানালী বিলে যান তিনি। সেখানে পাখিটিকে অবমুক্ত করা হলে এটি উড়াল দেয়—দৃশ্যটি দেখে উপস্থিতদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।
মুরারী পাড়া এলাকার বাসিন্দা কলেজশিক্ষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, শিশুটি ৫০০ টাকা পেয়ে খুশি হয়েছে। কৌতূহল থেকেই সে পাখি ধরেছিল। শীতে বিলে অতিথি পাখি আসে। এমামুল হক পাখিটিকে কিনে ছেড়ে দিয়ে সত্যিই ভালো একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তবে শিশুটির পরিচয় গোপন রাখতেই অনড় স্থানীয়রা। তারা জানান, সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আবার কখনো পাখি ধরবে না।
সরকারি কর্মকর্তা এমামুল হক বলেন, সাপ্তাহিক ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। পাখিটিকে মুক্ত করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। পাখিটির সঙ্গী ছিল না, একাই উড়াল দিল। ডানা মেলে আকাশে ভেসে যাওয়ার সেই মুহূর্তটি ছিল একেবারেই অন্যরকম।
স্থানীয়রা বলছেন, এমন উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
পরিবারসহ খাওয়ার উদ্দেশ্যে পাখিটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে ঘটনাটি নজরে আসে সরকারি এক কর্মকর্তার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে বড় বিহানালী স্কুল মাঠের কাছে ফাঁদ হাতে ও শামুকখোলটি নিয়ে ফিরছিল শিশুটি। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা অঞ্চলে কর্মরত কর পরিদর্শক এমামুল হক। তিনি শিশুটিকে থামিয়ে পাখি ধরার কারণ জানতে চান।
শিশুটি জানায়, পাখিটি জবাই করে পরিবার নিয়ে খাবেন তারা। তবে অতিথি পাখি শিকার আইনগতভাবে দণ্ডনীয় ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর—এমনটি জানালে শিশুটি নিজের ভুল স্বীকার করে। পরে পাখিটি বিক্রি করতে রাজি হলে ৫০০ টাকায় সেটি কিনে নেন এমামুল হক।
এরপর মুখ ও পা বাঁধা অবস্থায় থাকা শামুকখোলটি নিয়ে বড় বিহানালী বিলে যান তিনি। সেখানে পাখিটিকে অবমুক্ত করা হলে এটি উড়াল দেয়—দৃশ্যটি দেখে উপস্থিতদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।
মুরারী পাড়া এলাকার বাসিন্দা কলেজশিক্ষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, শিশুটি ৫০০ টাকা পেয়ে খুশি হয়েছে। কৌতূহল থেকেই সে পাখি ধরেছিল। শীতে বিলে অতিথি পাখি আসে। এমামুল হক পাখিটিকে কিনে ছেড়ে দিয়ে সত্যিই ভালো একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তবে শিশুটির পরিচয় গোপন রাখতেই অনড় স্থানীয়রা। তারা জানান, সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আবার কখনো পাখি ধরবে না।
সরকারি কর্মকর্তা এমামুল হক বলেন, সাপ্তাহিক ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। পাখিটিকে মুক্ত করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। পাখিটির সঙ্গী ছিল না, একাই উড়াল দিল। ডানা মেলে আকাশে ভেসে যাওয়ার সেই মুহূর্তটি ছিল একেবারেই অন্যরকম।
স্থানীয়রা বলছেন, এমন উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক